ভারতীয় ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম জানুন।
• আপনার মূল পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগে থেকে সর্বনিন্ম ৬ মাস মেয়াদী হতে হবে।
পাসপোর্টে অন্তত: দু’টি সাদা পাতা থাকতে হবে। পাসপোর্টের অনুলিপি (দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং তৃতীয় পৃষ্ঠা এবং বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর এসডোর্সমেন্ট, (যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।
• রঙ্গিন পোশাকে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২X২ সাইজের ছবি তুলবেন।মনে রাখবেন ছবি যেন ল্যাব প্রিন্টেড হয়।
ছবি তোলার সময় সাদা পোশাক, সাদা টুপি এবং চোখে চশমা পরা যাবে না।
• ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট গত ৬ মাস থেকে ঐদিন পর্যন্ত নিবেন। ব্যাংকে এন্ডিং ব্যালেন্স মিনিমাম ২০ হাজার থাকতে হবে।
আর যদি ডলার এন্ডরসমেন্ট করেন তাহলে মিনিমাম ১৫০ ডলার এন্ডরস করতে হবে। তবে বেশি করা ভাল।
• ফর্ম ফিলাপ করে টাকা জমা দেওয়ার আগে অবশই পেপারস গুলো আপনি নিজে ভাল করে চেক করে নিবেন। যেন কোথাও কোন ভুল না থাকে,
তারপর প্রিন্ট করে ফী ৮২৪/- টাকা জমা দিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য এপয়েন্টমেন্ট ডেট ও টাইম বেছে নিন। টাকা জমা দেওয়ার সময় প্রাপ্ত ডেট ও সময় অনুযায়ী আপনার আবেদন জমা দিতে যান। টাকা জমা দেওয়ার রশিদ প্রিন্ট কপি সাথে রাখুন। জমা দেওয়া হয়ে গেলে মোবাইলে একটি ম্যাসেজ পাবেন।
• আপনি আপনার যে কোন বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এবং কিছু ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
আপনার ফাইল জমা দেওয়ার দিন যে সব পেপারস সাথে নিয়ে যাবেন।
• ভিসা আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি।
• ভিসা আবেদনে ছবি লাগানো, ২টা স্বাক্ষর করবেন,পাসপোর্টে যেভাবে স্বাক্ষর করা আছে।
• জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এন্ডরসমেন্ট/ক্রেডিট কার্ড/ট্র্যাভেল কার্ড।
• ট্রেড লাইসেন্স/এন ও সি/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি।
• আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি।
• ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে (বাবা/মা, ভাই/বোন অবিবাহিত, স্বামী/স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে যারা যারা ভিসা আবেদন করবেন বায়োমেট্রিক ডাটা কেপচার এর জন্য সবাইকে ভিসা সেন্টারে আসতে হবে।
• পুরাতন পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।
পুরাতন পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে
• জিডি কপি,
• লস্ট সার্কুলেশন কপি,
• এফিডেভিট কপি করে নিয়ে যেতে হবে।
সকাল সকাল টাইম স্লট নেওয়ার চেস্টা করবেন। কারন কোন ডকুমেন্টস মিসিং থাকলে সময় থাকতেই কালেক্ট করে জমা দিতে পারবেন।
• আবেদন জমা দেওয়ার পর একটা রিসিট দিবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের ডেট লেখা থাকবে,
নরমালি ৫-৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
• ভিসা হয়েছে কিনা সেটা indianvisaonline. gov. in এই লিংক থেকে জানতে পারবেন।
তবে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য রেডি আছে কিনা সেটা এখান থেকে দেখতে পারবেনঃ https://www. passtrack. net/
লিগালি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে এবং আনতে পারবেন।
ইন্ডিয়া ভিসা পোর্ট এড আপডেট-
আপনি চাইলে পোর্ট এড করতে পারবেন যদি ৪মাস মেয়াদ থাকে। এক সঙ্গে দুইটা পোর্ট এড করা যায় ৩০০ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ এই দুইটা পোর্ট সহ আমার এন্ট্রি এক্সিট হবে ৮ টা পোর্ট। যেদিকে মন চাই যেতে পারবো ইনশাল্লাহ। পোর্ট এড করার জন্য বর্তমান ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থাকা বাধ্যতামূলক।
মিনিমাম -১৫/২০ দিন লাগবে পাসপোর্ট পেতে। আগে থেকে কোনো appointment প্রয়োজন নেই।
প্রয়োজনীয় কাগপত্রসহ:
১/অরজিনাল পাসপোর্ট
২/ পাসপোর্ট ফটোকপি
৩/ ভিসা ফটোকপি
৪/ পোর্ট এড এর ফর্ম পূরণ করে জমা ছবি
৫/ নগদ ৩০০ টাকা কাউন্টার জমা
৬/ পোর্ট এড কাউন্টার -৪০
পরিশেষে একটি রিকোয়েস্ট রইলো
আপনার পাসপোর্ট একান্তই আপনার নাহ এটি একটি দেশ ও জাতির সন্মান বহন কর।
আপনি যখন বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে যান, তখন আপনার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে চিনে অন্য দেশের মানুষজন। নিজেকে, নিজের দেশকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন। তাতে আপনার মর্যাদা বাড়বে, দেশের মর্যাদা বাড়বে।
THANK YOU STAY SAFE AND STAY WITH US…