রমজান এ কি খাবেন

সেহরিতে কী খাবেন?

রমজান খাদ্য সংযমের মাস, খাদ্য উৎসবের নয়। -প্রোটিন পানির তৃষ্ণা বাড়ায়। সেহরিতে তাই মাছ-মাংস বর্জন করুন। খিচুড়ি, ডিম, ডালও খাবেন না। সামান্য ভাত-সবজি বা কলা-খেজুর বা দই-চিড়া খান।

-তবে একেবারে কিছুই না খাওয়া, অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরি বর্জন- এটা করবেন না।

-সেহরি শেষে দাঁত ব্রাশ ও ওযু করে কিছুক্ষণ কোরআন তেলওয়াত করুন অথবা বাংলা অর্থসহ অডিও শুনতে থাকুন। ফজরের নামাজ আদায়ের পর যতক্ষণ ইচ্ছা শুনতে বা পড়তে পারেন।

রমজান এ কি খাবেন
রমজান এ কি খাবেন

 

ইফতারে কী খাবেন?

-ইফতারের সময় হলে খেজুর খেয়ে পানি পান করুন; শরীরে আসবে তাৎক্ষণিক প্রাণশক্তি। চিনির শরবতেরও প্রয়োজন নেই। নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিন। খাবারে ভাত, শাকসবজি, মাছ বা মাংস বা ডিম ও ডালসহ অন্যান্য সুষম খাবার, সালাদ, লেবু, ছোলা ও টক দই রাখুন। পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, পাকোড়ার মতো ভাজাপোড়া খাবেন না। হজমের অসুবিধা, বুক জ্বালাপোড়া ও এসিডিটির সমস্যা হতে পারে।পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি, মোগলাই, হালিম, চাইনিজ, গরু ও খাসির গোশত এ মাসে যত কম খান তত ভালো।

যেমন দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, শসা-টমেটোর মতো সালাদ, ফলমূল, স্যুপ, অলিভ অয়েল অথবা কম তেলে রান্না করা সবজি এমন খাবারের দিকে গুরুত্ব দেন তিনি। এছাড়া মাছ, মাংস এবং সবজির পাশাপাশি ‘দই-চিড়া’র মতো খাবারের দিকেও গুরুত্ব দেন অনেক পুষ্টিবিদ

কী গরমটা পড়তেছে বাইরে!
আবহাওয়া অফিস বলছে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে এবং তাপপ্রবাহ ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর কিছু অঞ্চল দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

• বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হবেন না এই গরমে। খুব প্রয়োজনে বের হলেও ছাতা ব্যবহার করবেন।
• যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই ইফতার শেষে প্রচুর পানি, ডাবের শরবত এবং খাবার স্যালাইন খাবেন।
• বাচ্চাদের ঘনঘন পানি খাওয়াবেন। এ সময় পানিশূন্যতার কারণে বাচ্চাদের ডায়রিয়া হচ্ছে খুব।
• ইদের কেনাকাটা অথবা বাইরের অন্য কাজ ইফতারের পর করবেন।

আমরা তো যেমন তেমন রিক্সাচালক, দিনমজুর যারা বাইরে রোদে কাজ করে তাদের কী অবস্থা হচ্ছে! রিক্সা কিংবা অটো ভাড়া ৫-১০ টাকা করে বেশি দিয়েন।

আল্লাহ আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে এনে দিন। আমাদের রক্ষা করুন।

 

1 thought on “রমজান এ কি খাবেন”

Leave a comment